🛰️ বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র (Betbunia Earth Satellite Station)
📍 অবস্থান:
উপজেলা: কাউখালী, রাঙামাটি
ইউনিয়ন: বেতবুনিয়া
ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য: পাহাড়ি এলাকার মাঝখানে একটি উঁচু টিলার ওপর স্থাপন করা হয়েছে।
🏛️ ইতিহাস ও গুরুত্ব:
এটি বাংলাদেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র, যা ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন উদ্বোধন করা হয়।
এটি একসময় দেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক কল সংযোগের মূল কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
বেতবুনিয়া কেন্দ্রের মাধ্যমেই একসময় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক যোগাযোগের (ইন্টারন্যাশনাল টেলিফোন কল) সূচনা করে।
🏞️ দর্শনীয় দিক:
বিশাল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা একাধিক স্যাটেলাইট ডিস অ্যান্টেনা, যেগুলো এখনো ইতিহাসের নিদর্শন হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশ, সবুজ পাহাড়-টিলা ঘেরা মনোরম দৃশ্য।
ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রটি একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন হওয়ায় অনেকেই এটি দেখতে আসেন।
🧭 ভ্রমণ গাইড:
ভ্রমণের সেরা সময়: শীতকাল বা বর্ষার পরের সময়ে (নভেম্বর – মার্চ) পরিবেশ পরিষ্কার থাকে, রাস্তাঘাটও ভাল।
প্রবেশ মূল্য: বর্তমানে প্রবেশ ফ্রি, তবে মাঝে মাঝে প্রশাসনিক অনুমতি লাগতে পারে ভেতরে প্রবেশের জন্য।
সতর্কতা: এলাকাটি এখন কিছুটা পরিত্যক্ত বা সীমিতভাবে ব্যবহৃত হয়, তাই গ্রুপে গেলে ভাল হয়।
📸 আপনি যেটা দেখতে পাবেন:
পুরোনো উপগ্রহ ডিসগুলি
কন্ট্রোল রুম (বহির্ভাগ)
সবুজ বন-বনানী
দূর থেকে পাহাড়ি দৃশ্য
🗺️ অতিরিক্ত আকর্ষণ (সাথে ঘুরে দেখা যায়):
বেতবুনিয়া বাজার – স্থানীয় পাহাড়ি খাবার ও হস্তশিল্প
ঘাগড়া ঝর্ণা – ১০-১৫ কিলোমিটার দূরে, trekking উপযোগী
🚌 যাতায়াত ব্যবস্থা (বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র):
✅ রাঙামাটি শহর থেকে:
প্রথম ধাপ: রাঙামাটি শহর থেকে কাউখালী/বেতবুনিয়া রুটে লোকাল বাস, চাঁদেরগাড়ি (জিপ), বা সিএনজি চলে।
বাস বা জিপ: সরাসরি বেতবুনিয়া বাজার পর্যন্ত যাওয়া যায়।
দূরত্ব: প্রায় ২৫-৩০ কিলোমিটার
সময়: ১.৫ থেকে ২ ঘণ্টা (রাস্তার অবস্থা ও যানবাহনের ওপর নির্ভর করে)
✅ চট্টগ্রাম থেকে:
চট্টগ্রাম শহর থেকে সরাসরি রাঙামাটি বা কাউখালী যাওয়ার বাস পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম থেকে কাউখালী পৌঁছাতে সময় লাগে আনুমানিক ৪–৫ ঘণ্টা।
কাউখালী পৌঁছে স্থানীয় সিএনজি বা মোটরবাইকে করে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রে যাওয়া যায়।
✅ নিজস্ব পরিবহন:
নিজস্ব মোটরবাইক বা প্রাইভেট কার থাকলে সরাসরি Google Maps ব্যবহার করে যেতে পারেন।
সড়কপথ: চট্টগ্রাম > রাউজান > রাঙ্গুনিয়া > কাউখালী > বেতবুনিয়া
🧭 পরামর্শ:
সকাল সকাল রওনা হলে দিনের আলোতে পুরো এলাকা ঘুরে দেখা যাবে।
পাকা রাস্তা থাকলেও কিছু জায়গা খানাখন্দে ভরা থাকতে পারে, তাই সাবধানতা অবলম্বন জরুরি।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS